📢 শীত এলেই এয়ার কন্ডিশনার বন্ধ করে দেয় সবাই! এতে এসি কি নস্ট হয়ে জেতে পারে?
শীতের হিমেল হাওয়া চারপাশে বইতে শুরু করেছে; ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে আশপাশের তাপমাত্রা। শীত আরও বাড়তে থাকার সাথে সাথে আমাদের প্রতিদিনের জীবনেও কিছু কিছু পরিবর্তন আসে।
যেমন, এসি / AC বন্ধ রেখে আমরা শীতের তাজা হাওয়া উপভোগ করতে পারি। অনেক সময়, শীতকালীন পরিধেয় পোশাকও বদলে যায় ।
তাই শীতকাল এসে এসির প্রয়োজন ফুরায়। তাই এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রতি কোনো খেয়ালই থাকে না। যখন আবার গরম আসে তখন কদর বাড়ে এসির। শীতকালে বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকে এসি
✮ প্রায় প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে মোট তিনটি মোড থাকে। Cool, Hot এবং Fan। গ্রীষ্মে যখন বাইরের তাপমাত্রা প্রচন্ড গরম থাকবে তখন সেসময় অবশ্যই Cool মোড চালু রাখুন। এর ফলে অতি দ্রুত নিজের
শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে এনে শীতল অনুভূতি পাওয়া যায়। Cool মোডে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করে, যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে এবং তাপমাত্রা কমায়।
তবে, শীতের সময় যখন বাইরের তাপমাত্রা নেমে আসে, তখন Hot মোড চালু করলে উষ্ণ বাতাস সরবরাহ করা হয়। এটি শীতল পরিবেশে আরামদায়ক অনুভূতি দেয় এবং শরীরকে গরম রাখে।
Fan মোডটি তখন ব্যবহার করা হয় যখন তাপমাত্রা সঠিক থাকে, তবে কিছুটা বাতাসের প্রবাহ প্রয়োজন হয়। এটি এয়ার কন্ডিশনারের ফ্যান শুধু চালু করে, কিন্তু কোনো তাপ বা ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করা হয় না।
যাইহোক আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে- শীতে AC'র বাড়তি যত্নে করনীয় ! নাহলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার দামী এসি টি ! ↴
➤ ত্রুটিপূর্ণ কম্প্রেসরের কারণে এমনটি ঘটে। রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের পরিমাণ কমে গেলেও কম্প্রেসর ঠিকভাবে কাজ করে না।
এছাড়া, এসির ( AC ) ফিল্টার ও কুলিং সিস্টেমে কোনো ধুলা বা ময়লা জমে না যায়, সে জন্য সময় সময় পরিষ্কার করা উচিত।
তবে, এসি (Air Condition) দীর্ঘসময় বন্ধ করে রাখলে এর যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে—গরমের সময় আবার চালু করতে গিয়ে প্রয়োজন হতে পারে অতিরিক্ত সার্ভিসিং খরচ।
ঠিকঠাকভাবে এসির যত্ন না নেয়া গেলে যন্ত্রাংশে ক্ষয় যেমন হতে পারে, তেমনি এর ওপর ধুলাবালির আস্তরণ পড়তে পারে; ফলে, কমে যেতে পারে কার্যক্ষমতা।
আবহাওয়া-জনিত ক্ষতি, মরিচা ধরা, ধুলো-ময়লা জমা রোধ করে এসি / AC সুরক্ষিত রাখার প্রক্রিয়াকে বলা হয় উইন্টারাইজিং। এই প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের মতো আর্দ্র অঞ্চলে এসিগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বেশ কার্যকর।
📢 উইন্টারাইজ করার মাধ্যমে কীভাবে এসিকে সুরক্ষিত রাখতে পারি, চলুন আজ জেনে নিই।
এসি কখনোই পলিথিন দিয়ে প্যাক করবেন না। এটি করার ফলে কনডেন্সার ইউনিটে মরিচা এবং ছত্রাক হতে পারে। এটি ঢেকে রাখার জন্য কিছু ব্যবহার করুন, যাতে এসি-তে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
➤ অনেক সময় রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস বের হয়ে যাওয়ার কারণে এসির কার্যকারিতা কমে যায়।
➀ এসি ( AC ) পরিষ্কার করুন:
প্রথমেই এসি বন্ধ করে ফিল্টার বের করে নিন। এরপর খুব সাবধানতার সাথে ফিল্টার ও ভেন্ট মুছে নিন। পরিচ্ছন্ন ফিল্টার আপনার এসির ভেতরে বাতাসের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিতে কাজ করবে। এরপর একটি নরম কাপড় দিয়ে ইভেপোরেটর কয়েল থেকে ধুলো-ময়লা মুছে ফেলতে হবে। এতে করে এসির ভেতরকার অস্বস্তিকর গন্ধ কমে আসবে। এসিতে / AC ফ্রিজ ওয়াশ বা অটো ড্রাইয়ের মতো ফিচার থাকলে, ইভেপোরেটর কয়েল ম্যানুয়ালি পরিষ্কার করার বদলে এগুলো ব্যবহার করুন।➁ AC ড্রেন প্যান ও পাম্প চেক করা:
ড্রেন প্যান ও পাম্প চেক করুন অর্থাৎ এয়ার কন্ডিশনারে কুলিং প্রসেস চলার সময় এর ভেতরে থাকা কনডেনসেট প্যানে পানি জমে থাকে। তাই, সেখানে নোংরা-ময়লা না জমাতে চাইলে এবং দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে এই জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে। এরপর, অপ্রত্যাশিত ঝামেলা এড়াতে আবার এসি ( AC ) ব্যবহার শুরু করার আগে ড্রেইন লাইনটি ভালোভাবে দেখে নিন। লাইনে কোনো ধরনের লিক নেই, তা নিশ্চিত করে নিন।➤ এসির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে ইভাপোরেটর (বাষ্পীভবন) কয়েলে জমা মরিচা।
➂ এসি ( AC ) চালিয়ে রাখা:
যদি শীতকাল দীর্ঘ হয়, কিছু দিন পর এসি চালিয়ে রাখতে পারেন । এটি এসির ইনভেটর বা কুলিং সিস্টেমে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং এসির পারফরম্যান্স ভালো রাখে।➃ AC র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
শীতকালে এসি খুব বেশি ঠান্ডা রাখার প্রয়োজন নেই, তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সেট করা ভালো, যাতে এসি কমই কাজ করে।➄ এসি ( AC ) ঢেকে রাখুন:
পরিষ্কার করা ও জমা পানি ফেলা হয়ে গেলে আর্দ্রতা, পোকামাকড় ও ধুলা থেকে সুরক্ষিত রাখতে এসি ঢেকে রাখুন। এক্ষেত্রে, ওয়াটারপ্রুফ কভার ব্যবহার করলে ভালো হবে। সম্ভব হলে, মাঝেমাঝে কিছু সময়ের জন্য হলেও এসি চালিয়ে দেখে নিতে হবে সব ঠিকঠাক আছে কিনা!যদি বাড়িতে খুব ধুলোবালি পড়ে, তবে যতদিন এসি বন্ধ থাকবে, ততদিন কভার দিয়ে ঢেকে রাখুন।
বাজারে এখন এসির কভার পাওয়া যায়, যা ধুলোবালি ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে এসি-কে।যদি বাড়িতে খুব ধুলোবালি পড়ে, তবে যতদিন এসি বন্ধ থাকবে, ততদিন কভার দিয়ে ঢেকে রাখুন।
বাজারে এখন এসির কভার পাওয়া যায়, যা ধুলোবালি ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে এসি-কে ▐
➅ মৌসুমের শেষের AC আগে সার্ভিসিং:
শীতের শেষে, এসি সার্ভিস করানো ভালো, যাতে গ্রীষ্মের জন্য প্রস্তুত থাকে। এসির কিছু অংশে সমস্যা থাকলে সেগুলি ঠিক করা সহজ হয়।➆ Air Condition ভালো রাখার জন্য
সঠিক তাপমাত্রায় চালালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বারবার মেরামতের খরচ বাঁচানো অনেক সহজ হয়ে যায়। এগুলি অনুসরণ করলে শীতে এসি ( AC ) ভালো থাকবে এবং গ্রীষ্মে যখন পুনরায় চালাতে হবে, তখন এটি সহজেই কাজ করবে।➇ এসির ভেতরে ও বাইরের কয়েলের যত্ন
এসির ভেতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দুটোই সাফ রাখা দরকার। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করা উচিত।👉আর এই কাজগুলো এখন আপনি নিজেই করতে পারবেন। তবে, এসির / AC ইন্টারনাল কম্পোনেন্ট ঠিক আছে কিনা দেখতে, ডিপ ক্লিন করতে এবং এই শীতের পরেও এসিকে আগের মতো সচল রাখতে প্রফেশনাল কারও সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
এক্ষেত্রে, স্যামসাংয়ের মতো বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডগুলো এসি সহ বাকি গৃহস্থালি অ্যাপ্লায়েন্সের সুরক্ষায় সুদক্ষ প্রফেশনালদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এসি উইন্টারাইজ করার ক্ষেত্রে তারা আপনাকে সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এসি ঠিক রাখতে এর উইন্টারাইজ করা অত্যন্ত জরুরি।
তাই সঠিক সময়ে এসির / AC র সঠিক যত্ন না নিলে কিছু সময় পর নানা সমস্যা হতে পারে। তবে, ওপরের পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হলে বলা যায়, শীত শেষে গরম আসলেও আপনার এসি স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করবে। এসিকে সুরক্ষিত রাখার উপায়গুলো আমরা জেনে নিলাম।
এখন আমাদের দায়িত্ব দরকারি এই টিপসগুলো আমাদের কাছের মানুষদের জানানো এবং প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করা। আপনার এবারের শীত আনন্দে কাটুক!
✮ 'AC' স্প্লিট এসির আউটডোর ইউনিট কখনোই খোলা রাখা উচিত নয়। এর কারণ, খোলা অবস্থায় বাইরের ইউনিটে ধুলা, পানি বা অন্যান্য ময়লা প্রবেশ করতে পারে, যা এসির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বা যান্ত্রিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। শীতকালে, যখন এসি কম ব্যবহার হয়, তখন এটি ঢেকে রাখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
✮ এভাবে শীতকালে এসির বাইরের অংশের যত্ন নিলে এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং গ্রীষ্মে সহজেই কাজ করতে পারবে।
উত্তরঃ ▷শীতকালে বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকে এসি । আর শীতের এই দীর্ঘ সময় ধরে যদি এসি ব্যবহার না করেন, তাহলে এসি নস্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে । এসময় এসির যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পরিষ্কার এবং সঠিক পরিবেশে রাখলে এসি ভালো অবস্থায় থাকে এবং এর কার্যক্ষমতা দীর্ঘসময় বজায় থাকে। ধুলা এবং ময়লা জমে গেলে এসির কুলিং ক্ষমতা কমে যায় এবং বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে যায়। তাই এসি পরিষ্কার রাখতে হবে, যেমন ফিল্টার পরিষ্কার করা এবং কন্ডেনসার কোকস চেক করা। এছাড়া এসি কোথায় স্থাপন করা হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ—তাতে সঠিক বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিত হয় এবং এসি বেশি সময় ধরে কার্যকর থাকে।
উত্তরঃ ▷
এসি ঠান্ডা কম হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ কারণ দেওয়া হলো:
এসি ঠান্ডা কম হওয়ার সমস্যাটি যদি চলতেই থাকে, তবে একজন পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উচিত।
উত্তর ▷
এসির গ্যাস (ফ্রিজেন্ট) শেষ হলে কিছু স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলি আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন:
এসি গ্যাসের অভাব হলে একে পূর্ণভাবে রিফিল করতে হবে, যা কেবল পেশাদার টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে করা সম্ভব। তাই এসির গ্যাস কমে গেলে বা শেষ হয়ে গেলে, টেকনিশিয়ান ডাকা উচিত।
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের
follow দিয়ে রাখুন । অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।
𝕂𝕚𝕟𝕕𝕝𝕪 𝕃𝕚𝕜𝕖 / 𝔽𝕠𝕝𝕝𝕠𝕨 𝕆𝕦𝕣 ℙ𝕒𝕘𝕖 𝕥𝕠 𝕜𝕖𝕖𝕡 𝕦𝕡𝕕𝕒𝕥𝕖𝕕 ❦
(Education and knowledge are the lights that illuminate the world as they spread.)
0 Comments